Sornojuge Muslim Bigganider Abishkar PDF

স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার PDF বই – সাহাদত হোসেন খান

বইমেট টেলিগ্রাম চ্যানেল

Join Now

স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার PDF (Sornojuge Muslim Bigganider Abishkar) বইটি সাহাদত হোসেন খান এর লেখা। বইটি আমরা অনলাইন থেকে সংগ্রহ করেছি।

বইমেট বাংলা ইবুক ডাউনলোড ওয়েবসাইট। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে Sornojuge Muslim Bigganider Abishkar বইটির PDF কপি ডাউনলোড করে অফলাইনে পড়তে পারবেন এবং চাইলে অনলাইনেও পড়তে পারবেন। বইটির পিডিএফ ডাউনলোড লিংকসহ বিস্তারিত সকল তথ্য নিচে দেওয়া আছে।

স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার – Sornojuge Muslim Bigganider Abishkar PDF বইটির কিছু তথ্য

বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই…

বইয়ের নামঃস্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার
লেখকঃসাহাদত হোসেন খান
প্রকাশনাঃআফসার ব্রাদার্স
বইটির মোট পৃষ্ঠাঃ৪৮০
বইটির পিডিএফ সাইজঃ18 MB

স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার বইটির সূচিপত্র

বইটি সম্পর্কে সহজেই ধারণা পেতে। স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার পিডিএফ বইয়ের সূচিপত্রের কিছু ছবি দেওয়া হলঃ

স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার PDF (Sornojuge Muslim Bigganider Abishkar) - ১
স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার বই – সাহাদত হোসেন খান – ১
স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার PDF (Sornojuge Muslim Bigganider Abishkar) - ২
স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার বই – সাহাদত হোসেন খান – ২

Sornojuge Muslim Bigganider Abishkar PDF বই সম্পর্কে কিছু কথা

জীবনের সঙ্গে বিজ্ঞানের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ । এককথায় বিজ্ঞান ছাড়া আমাদের জীবন অচল। একথা আজকের দিনে যেমন সত্যি, অতীতকালেও ছিল তেমনি সমান সত্যি। তবে আজকের মতাে অতীতে বিজ্ঞান সাধনা এত সহজ ছিল না। অন্ধকারময় সেই যুগে মুসলমানরাই ছিল বিজ্ঞানের জনক। ইসলাম শুধু মানুষের জীবনে আধ্যাত্মিক বিপ্লব ঘটিয়েছিল তা নয়, বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারেও অনবদ্য অবদান রেখেছে। এ সত্য আজকের প্রজন্মের অনেকেই জানে না। এ অজানাকে প্রকাশ করার দুর্নিবার আকাঙ্খা থেকে বইটি লেখা হয়েছে। এই বিবেচনায় বইটির নামকরণ যথার্থ বলে গণ্য করা যায় ।

বইটি সম্পর্কে কিছু কথাঃ
বিজ্ঞানের ছাত্র না হলেও বিজ্ঞান আমার প্রিয় বিষয়। বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির সঙ্গে জীবনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় নিজের অজান্তে বিজ্ঞান নিয়ে প্রায়ই ভাবতাম । চারদিকের সকল বাস্তবতা যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতাে যে, বিজ্ঞানের সঙ্গে মুসলমানদের কোনাে সম্পর্ক নেই। তখন নিজেকে খুব অসহায় মনে হতাে। প্রতি বছর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তদের তালিকায় মুসলমানদের নাম দেখতে না পেলে মনটা আরাে ভারি হয়ে উঠতাে। তখন ভাবতাম শুরু থেকেই কি মুসলমানদের এ দুরবস্থা?

এ প্রশ্নের জবাবে তেমন কিছু জানা না থাকলেও আমার দশম শ্রেণীতে পাঠ্য সাধারণ বিজ্ঞান বইয়ের দু’একটা নাম ও বিষয় অস্পষ্টভাবে মনে পড়তাে। বিশেষ করে আল-জাবির ও আল-কেমি শব্দ দুটি বেশি মনে আসতাে। ছাত্রজীবন থেকে শুনে আসছিলাম বীজগণিত ও রসায়নের জনক মুসলমানরা। মুসলমান হিসাবে গর্ব করতে গিয়ে অনেক সময় উল্টা পাল্টা বলতে গিয়ে বলতাম, মুসলিম গণিতজ্ঞ আল-জাবির হলেন বীজগণিতের জনক। আর আরবী আল-কেমি হলাে রসায়নের উৎস। বইটি লিখতে গিয়ে আমার ভুল ভাঙ্গে। জানতে পারি আল-জাবির আদৌ কোনাে লােকের নাম নয়। আল-জাবর হলাে একটি বইয়ের নাম। এ বইয়ের নামানুসারে আমাদের অতি পরিচিত এলজাব্রা নামের উৎপত্তি হয়েছে। আল-জাবর বইটি লিখেছেন মােহাম্মদ মুসা আল-খাওয়ারিজমি। খাওয়ারিজমি সম্পর্কে লিখতে গিয়ে বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যাই। মুসলমানদের এত মেধা থাকতে পারে তা আগে ভাবতে পারিনি। এ বইয়ে যেসব মুসলিম বিজ্ঞানীকে নিয়ে আলােচনা করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের ব্যাপারে ছিল আমার একই অনুভূতি। যতই লেখার গভীরে প্রবেশ করেছি ততই আমার দৃষ্টি প্রসারিত হয়েছে। বইটি লিখতে গিয়ে বুঝতে পারি মধ্যযুগের আরব মুসলমানদের কাছে বিশ্ব সভ্যতা কতটা ঋণী। মধ্যযুগে কোনাে কারণে মুসলমানরা জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রতি উদাসীন থাকলে মানব সভ্যতা অন্ধকারে তলিয়ে যেতাে।

বিজ্ঞানকে আমার কাছে মনে হয়েছে একটি মশালের মতাে। প্রাচীনকালে গ্রীকরা বিজ্ঞানের এ মশাল প্রজ্বলিত করেছিল। মধ্যযুগে মুসলমানরা এ মশাল নিজেদের হাতে তুলে নেয় । মুসলমানদের স্পেন বিজয়ের মধ্য দিয়ে এ মশাল ইউরােপে স্থানান্তরিত হয়েছে। বৈজ্ঞানিক জ্ঞান স্থানান্তরে অনুবাদের ভূমিকা কতটুকু তা লিখে শেষ করা যাবে না। মুসলমানরা অনুবাদের মধ্য দিয়েই গ্রীক জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে পরিচিত হয়। একইভাবে ইউরােপীয়রাও অনুবাদের মধ্য দিয়ে আরবদের কাছ থেকে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান শুষে নিয়েছে। মুসলমানরা শুধু প্রাচীন গ্রীক পাণ্ডুলিপি আরবীতে অনুবাদ করেছে তাই নয়, নিজেরা বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারে মৌলিক প্রতিভার প্রমাণও রেখেছে।

আমরা অনেক সময় অনির্বাচিত রাজতন্ত্রের সমালােচনা করি। কিন্তু বইটি লিখতে গিয়ে আমি দেখেছি অনির্বাচিত আব্বাসীয় খলিফা হারুনুর রশীদ এবং তার সুযােগ্য পুত্র আল-মামুনই হলেন মধ্যযুগে আরব জাহানে বিজ্ঞান সাধনার অগ্ৰপুরুষ। এ দুই মুসলিম শাসক একটি ঘুমন্ত জাতিকে জাগিয়ে তােলেন। বাগদাদে বায়তুল হিকমাহ তারাই প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বায়তুল হিকমাহ প্রতিষ্ঠা করা না হলে মুসলিম ইতিহাসে স্বর্ণযুগ বলে কোনাে অধ্যায়ের সংযোজন ঘটতাে কিনা সন্দেহ। একটি লাইব্রেরি একটি জাতির ইতিহাসকে কিভাবে পাল্টে দিতে পারে বায়তুল হিকমাহ তার প্রমাণ। আমি বিশ্বাস করি, খলিফা হারুন ও মামুনের মতাে শাসকের আবির্ভাব ঘটলে এবং বায়তুল হিকমাহর মতাে শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে উঠলে প্রতিটি যুগে বিজ্ঞানে বিপ্লব ঘটবে। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, বিজ্ঞান হচ্ছে শক্তির মূল। জাতি হিসাবে মর্যাদার আসন লাভ করতে হলে বিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা ছাড়া সম্ভব নয়। জাতি হিসাবে মুসলমানরা যেন হারানাে আসন পুনরুদ্ধার করতে পারে এমন একটি তাগিদ থেকে আমি বইটি লিখেছি।

আমি আশা করি, আমাদের আজকের শিশু এবং আগামী প্রজন্ম বিজ্ঞান শিক্ষাকে নিজেদের জীবনের চালিকা শক্তি হিসাবে গ্রহণ করবে।
১ ফেব্রুয়ারি, ২০১২
সাহাদত হােসেন খান

বইমেট থেকে যেভাবে পিডিএফ ডাউনলোড করবেন বিস্তারিত ভিডিও দেখুন!

Download Link of স্বর্ণযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার PDF বই

আপনার চাহিদামত সকল ধরনের পিডিএফ দিচ্ছে বইমেট.কম। প্রতিদিন নতুন নতুন বই পেতে যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেইজটেলিগ্রাম চ্যানেলে

যুক্ত হোন

telegram 64
facebook 64
email 64

শিক্ষামূলক বই

ইসলামিক বই