আমার আম্মা PDF (Amar Amma) বইটি সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী এর লেখা। বইটি আমরা অনলাইন থেকে সংগ্রহ করেছি।

বইমেট বাংলা ইবুক ডাউনলোড ওয়েবসাইট। আমাদের ওয়েবসাইট থেকে Amar Amma বইটির PDF কপি ডাউনলোড করে অফলাইনে পড়তে পারবেন এবং চাইলে অনলাইনেও পড়তে পারবেন। বইটির পিডিএফ ডাউনলোড লিংকসহ বিস্তারিত সকল তথ্য নিচে দেওয়া আছে।

আমার আম্মা – Amar Amma PDF বইটির কিছু তথ্য

বইটি সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই…

আমার আম্মা বইটির সূচিপত্র

বইটি সম্পর্কে সহজেই ধারণা পেতে। আমার আম্মা পিডিএফ বইয়ের সূচিপত্রের কিছু ছবি দেওয়া হলঃ

Amar Amma PDF বই সম্পর্কে কিছু কথা

মুখবন্ধ: আমার মরহুমা আম্মা সাইয়েদা খায়রুন্নেসা জুমাদাল আখিরা ১৩৮৮ হি. ৩১শে আগস্ট, ১৯৬৮ সালে এ নশ্বর দুনিয়া থেকে বিদায় নেন। তাঁর ব্যক্তিত্ব কেবল তাঁর সীমিত খান্দানেই নয়, বরং বর্তমান যুগের মুসলিম কিশোরী ও গৃহবধূদের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত এবং অতীত যুগের (যা ছিল বড়ই কল্যাণ ও বরকতের যুগ) নেক মেযাজ ও সৎ স্বভাব, খোদাভীরু ও আল্লাহ্র ইবাদতকারী মুসলিম মহিলা এবং নেক্কার ও ইবাদতগুযার মহিলাদের জন্য স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তাঁর দৃঢ় ঈমান ও ইয়ার্কীন, আল্লাহর প্রতি ভালবাসা, দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি ও আখিরাতের প্রতি আগ্রহ, নিজের ও নিজ সন্তানদের ক্ষেত্রে দুনিয়ার ওপর দীনকে খোলামেলাভাবে প্রাধান্য দান, দুনিয়ার সম্পদ, মর্যাদা ও সাজ-সজ্জার প্রতি অনীহা, সংসারের প্রতি উদাসীনতা ও অল্পে তুষ্টি, দো’আ ও মুনাজাতের প্রতি ভালবাসা, দো’আর আছর ও গ্রহণযোগ্যতা, আল্লাহ্র কালাম ও রাসূল (স.)-এর যিকরসমূহের বৈশিষ্ট্য ও প্রভাবের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস এবং সেগুলিকে মনোবাঞ্ছা পূরণ ও দুনিয়ার সৌভাগ্য ও কামিয়াবীর মাধ্যম এবং সকল বন্ধ দুয়ারের তালার চাবিস্বরূপ মনে করা, দো’আর উত্তাপ ও কোমলতা, নামাযের অন্তর্নিহিত স্বাদ ও আবেদন, দীন ও দীনদার লোকদের সম্মান ও মর্যাদা তাঁর শরীরের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবিষ্ট হওয়া এবং স্বভাবে পরিণত হয়ে যাওয়া পূর্বসুরীদের সময়কাল এবং ইসলামের ইতিহাসের সেসব সম্মানিত মহিলার স্মরণ ভাজা ও চাঙ্গা করে তুলত, স্মারক ও জীবনী গ্রন্থসমূহে যাঁদের কাহিনীসমূহ লিখিত ও পঠিত হয়ে থাকে। তাঁকে দেখেই অনুমান করা যেত যে, ফেতনা ফাসাদ ও পাপাচারের এই যামানায় এবং বস্তুবাদ ও দীনের প্রতি অবহেলার এই সময় পর্বে যদি ঈমানী শক্তি ও দীনদারীর এমন নমূনা পাওয়া যায় তবে প্রথম যুগের ও ইসলামের প্রাণকেন্দ্রের সেসব মহিলাদের অবস্থা কীরূপ ছিল যারা তা’লীম ও তরবিয়ত (শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ)-এর সর্বোত্তম পরিবেশে লালিত-পালিত হয়েছিলেন। তাঁকে দেখেই আঁচ করা যায় যে, প্রথম যুগের সে সব নেককার, ইবাদতওযার, আলেম ও বিদুষী মহিলাদের সম্পর্কে প্রামাণ্য গ্রন্থসমূহে সে সব কাহিনী ও জীবন-চরিতের উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে বিন্দু পরিমাণও বাড়াবাড়ি বা কল্পকাহিনী রচনার মানসিকতা নেই।

আম্মার ইনতিকালের দু’মাস পরই মাসিক “রিষওয়ান” লাখনৌয়ের (নভেম্বর-ডিসেম্বর ১৯৬৮ খৃ. মুতানিক শাবান-রমযান ১৩৮৮ হি. সংখ্যা) বিশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়, যা ছিল মূলত তাঁর জীবনী, জীবনের বিভিন্ন ঘটনা, তাঁর মূল্যবান বাণী ও রচনাবলীর আলোচনা ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ সম্বলিত। মুসলিম মহিলাদের এ পত্রিকাটি তাঁর খান্দানের লোকের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। এর সম্পাদক তাঁর দৌহিত্র মৌলভী সাইয়েদ মুহাম্মদ ছানী হাসানী সাল্লামাহ এবং সহযোগী সম্পাদক মরহুমার কন্যা আমার সহোদরা আমাতুল্লাহ তাসনীম সাহেবা। এ সংখ্যাটি ছিল বড় সাইজের ৯৬ পৃষ্ঠাসম্বলিত। পত্রিকাটির নিবন্ধ রচনা, সম্পাদনা ও বিন্যাসে তাঁরই সন্তান-সন্ততি এবং তাঁরই খান্দানের লোকজন অংশগ্রহণ করে, যারা তাঁর জীবন-চরিত ও কামালিয়াত, কাজকর্ম, দৈনন্দিন ইবাদত ও আমলসমূহ সম্পর্কে সবচে’ বেশী অবগত এবং তার চাক্ষুষ সাক্ষী ছিলেন।” রিষওয়ান”-এর এ সংখ্যাটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই এর সব কপি নিঃশেষ হয়ে যায়। বহু লোক এটাকে গ্রন্থের মত সংরক্ষণ করে রেখেছেন এবং বহু আগ্রহী পাঠক এখনো এর চাহিদা ব্যক্ত করে থাকেন যা তাদেরকে সরবরাহ করা সম্ভবপর হয়ে ওঠেনি। আগ্রহী ও গুণগ্রাহীদের এরূপ আগ্রহ ও কামনা দেখে এবং আমি নিজেও এর প্রয়োজনীয়তা ও প্রভাবের কথা উপলব্ধি করে একে একখানি স্বতন্ত্র গ্রন্থাকারে প্রকাশ করতে মনস্থ করলাম যাতে সর্বস্তরের জনগণ এর দ্বারা উপকৃত হতে পারে এবং একখানি গ্রন্থের আকৃতিতে তা ঘরে ঘরে ও লাইব্রেরীসমূহে সংরক্ষিত হয়। এখন যখন মরহূমার নির্বাচিত স্বরচিত দো আর সংকলন (যা তাঁর জীবদ্দশায় প্রথমত “বাব-ই রহমত” এবং পরবর্তীতে “কলীদ-ই ৰাব-ই রহমত” নামে দুই ভাগে প্রকাশিত ও জনপ্রিয় হয়েছিল) ডক্ত ও আগ্রহীদের আগ্রহ ও চাহিদার প্রেক্ষিতে “কলীদ-ই বাব-ই রহমত” নামে পুনঃপ্রকাশ করা হচ্ছে। এ সংখ্যাটিই পুন:নীরিক্ষা, যাচাই-বাছাই ও সংযোজন-বিয়োজনসহ “বিক্র-ই স্বায়ের” নামে প্রকাশ করা হল। এর সবগুলি লেখা তাঁর নিকটাত্মীয় এবং রাত-দিন তাঁকে যারা দেখেছেন, খান্দানের সে সকল লোকের রচিত আর এ সবই “রিযওয়ান” পত্রিকার বিশেষ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছে।

আশা করি “যিকর-ই খায়ের” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত লেখাগুলো মূল্যবান হিসেবেই বিবেচিত হবে এবং আগ্রহভরে পঠিত হবে, আর এর দ্বারা নিজের মধ্যে নেক প্রভাব ও অবস্থা পয়দা করা এবং বাচ্চাদের তালীম ও তরবিয়তের কাজে সাহায্য নেয়া হবে। গ্রন্থের পাঠক-পাঠিকাদের কাছে মরহুমার জন্য মাগফিরাত এবং তাঁর দরজা বুলন্দীর জন্য দো’আ করার আবেদন রইল। আর সেই সঙ্গে তাঁর সন্তান-সন্ততি ও খান্দানের লোকদেরকেও উক্ত দো’আয় শরীক করার আশা ও আবেদন রইল।

রিভিও: বইটিতে সাইয়েদা খায়রুন্নেসার প্রস্ফুটিত গোলাপসম চরিত্রের কিছুমাত্র পাপড়ির পরশ পাওয়া যায়।এক নিমিষেই শেষ করে ফেলার মতো বই; অথচ পড়া শেষে মনে হবে তৃষ্ণা মিটেনি এই মহীয়সীকে জানার! পরতে পরতে কী অমূল্য সব উপদেশ। তাঁর সন্তানকে লিখা প্রতিটি চিঠি এতো প্রেরনাদায়ক, তা পড়ে কোন সন্তানের পক্ষেই চিঠিতে দেয়া ইলমের তাগিদ উপেক্ষা করা সম্ভব নয়। উনবিংশ শতাব্দীতে যেখানে নারীদের লিখতে শেখার বারণ ছিল, প্রেমপত্র লিখবে এই ভয়ে.. সেই যুগে তিনি লিখতে শিখেন আর তার লিখা দ্বারা নিজের আপনজন ছাড়াও সমসাময়িক নারী পুরুষেরা উপকৃত হয়েছেন। তাঁর দ্বীনদারিতা, ন্যায়পরায়ণতা, আত্নমর্যাদাবোধ নারীদের জন্য আদর্শস্বরূপ। আজ একবিংশ শতাব্দীতে এমন পুণ্যবতী খায়রুন্নেসাদের বড় অভাব।

মেয়েদের জন্য ছেলেমেয়েদের কিভাবে তার পরিবার পরিচালনা করতে হবে। পরিবারের মধ্যে থেকে কিভাবে ইসলামকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে তার বিশদ শিক্ষা আছে বইটিতে।

হুজুর শায়খ আহমাদুল্লাহর এক লেকচার এ উনি এই বইটা রিকমেন্ড করেছিলেন। (গুড রিডস)

Download Link of আমার আম্মা PDF বই

আপনার চাহিদামত সকল ধরনের পিডিএফ দিচ্ছে বইমেট.কম। প্রতিদিন নতুন নতুন বই পেতে যুক্ত হোন আমাদের ফেসবুক পেইজ ও টেলিগ্রাম চ্যানেলে।